দেশ, জাতি, আবহাওয়া ও জিনগতভাবে মানুষের গড় উচ্চতার তারতম্য দেখা যায়। বাঙালিদের ক্ষেত্রে এক রকম তো কোরিয়া, জাপান কিংবা আফ্রিকার মানুষের অন্য রকম। এই রকমফেরের অনেক কারণ রয়েছে। এরমধ্যে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য কারণ হচ্ছে জিনগত, খাদ্যাভ্যাস, আবহাওয়া, জলবায়ু।
তবে অস্বাভাবিক কম উচ্চতার মানুষের সংখ্যাও নেহাত কম নয়। এবার গিনেস বুক অব ওয়ার্ল্ড রেকর্ডে নাম উঠলো বিশ্বের সবচেয়ে খাটো পুরুষ আফশিন ইসমায়েল গাদেরজাদেহের। ইরানের বাসিন্দা আফশিনের উচ্চতা মাত্র ৬৫.২৪ সেমি বা ২ ফুট ১.৬ ইঞ্চি। এর আগে এই রেকর্ড ছিল নেপালের খাপাঙ্গিরের। তার গড় উচ্চতা ৭৩.৪৩ সেমি বা ২ ফুট ৪.৯ ইঞ্চি।
ইরানের পশ্চিম আজারবাইজান প্রদেশের বুকান কাউন্টিতে অবস্থিত একটি প্রত্যন্ত গ্রামে আফশিন বাবা-মার সঙ্গে বাস করেন। কথা বলেন ফার্সি উপভাষা কুর্দি এবং ফার্সি উভয় ভাষায়। মাত্র ৭০০ গ্রাম বা ১.৫ পাউন্ড ওজন নিয়ে জন্মগ্রহণ করেন আফশিন। এখন তার ওজন মাত্র সাড়ে ছয় কেজি বা ১৪.৩ পাইন্ড।
উত্তর ইরানে আফশিনের জীবন সহজ ছিল না। তার আকারের কারণে স্কুলে যেতে পারেননি কখনো। এছাড়াও শারীরিক অক্ষমতা তো ছিলই। সব সময় দুর্বল থাকতেন আফশিন। ছোটবেলায় সেখাবে চিকিৎসাও করাতে পারেননি আফশিনের বাবা-মা। তবে আফশিনের শারীরিক দুর্বলতা থাকলেও তার কোনো মানসিক সমস্যা নেই। বর্তমানে তার বয়স ২০ বছর।
আফশিনের সময় কাটে সোশ্যাল মিডিয়া স্ক্রোল করে এবং কার্টুন দেখে। আফশিন ফুটবল খেলা দেখতেও ভালোবাসেন। তার প্রিয় ফুটবল খেলোয়াড়রা হলেন গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডধারী আলি দাই (ইরান) এবং ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো (পর্তুগাল)। নিজের এলাকায় আফশিন খুবই জনপ্রিয় তার আচার-ব্যবহারের জন্য। মানুষকে যতটা পারেন সবসময় সাহায্য করেন এবং হাসিখুশি থাকেন। এজন্য এলাকার মানুষও খুব ভালোবাসেন তাকে। তার এই রেকর্ডের জন্য বাবা-মা সহ প্রতিবেশীরাও খুশি। সূত্র: গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস